বইটির ডাউনলোড লিংক নিচে দেওয়া আছে।
কিছু কথা
আমি কে?
কোথা থেকে এলাম?
কেন এলাম? কে পাঠাল আমাকে ? আর কোথায়ই বা যাব আমি?
এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজে ফিরেছে সে বিশ্বাস করে নিয়েছে নিজের চেয়ে অনেক
ক্ষমতাধর এক সত্ত্বার, কখনও তাঁকে ডেকেছে “স্রষ্টা’’ বলে, কখনো ‘দেবতা’ বলে,
কখনও বা ‘ঈশ্বর’ বলে। করে গিয়েছে সে সত্ত্বার উপাসনা (ইবাদাত)। কখনও হয়ত কালের
পরিক্রমায় সেই “এক” সত্ত্বার স্থলাভিষিক্ত হয়ে পড়েছে বহু সত্ত্বা। তখনই তার
কাছে এসে পৌঁছেছে স্রষ্টার বাণী এক-স্রষ্টার প্রতি আনুগত্যের বাণী তথা সত্যের
প্রতি আহবান। আবার, কখনও কখনও সে বিচ্যুত হয়েছে সে বাণী থেকে, যে ব্যক্তি সেই
শাশ্বত আহবান পরিত্যাগ করেছে , তবে তার জন্য তা মোটেও মঙ্গল বয়ে আনে নি ।
এক মানব-মানবী যুগলের বহু সন্তান এই মানবজাতি এক স্রষ্টার আহবানে এগিয়ে গিয়েছে
অনেকবার, পিছিয়েও এসেছে অনেকবার। কিন্তু কখনই আহবান-শূন্য হয়নি এ জাতি। যেখানেই
আঁধার সেখানেই আলোর মত ছুটে এসেছেন মুক্তির দূতগণ (নবী-রাসূলগণ), স্রষ্টার
মেসেজ (বার্তা) নিয়ে হাজির হয়েছেন তাঁরা। শত কষ্ট সহ্য করে হলেও মানুষকে আহবান
করে গেছেন সত্যের পথে, মুক্তির পথে, কল্যাণের পথে । তাদের আহ্বানের কল্যাণেই
মানুষ দেখেছে এক মহাপ্লাবনের পরেও কুঁড়ি থেকে ফুল ফোঁটার মত সভ্যতার উন্মেষ,
দেখেছে লোহিত সাগর দু’ভাগ হয়ে স্রষ্টার কৃপা পাওয়া এক জাতির মুক্তি, দেখেছে
অনেক মহামানবের আগমন।
কত শত সংস্কারককেই না দেখেছে এই দুনিয়াবসী। আর সর্বশেষে দেখেছে মুক্তির অগ্রদূত
মরুভাস্কর “মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল্লাহকে’’ (শান্তি আর দোয়া বর্ষিত হোক তাঁর
উপর)। দয়াময় স্রষ্টা, সর্বশক্তিমান আল্লাহর কাছ থেকে আসা সর্বশেষ মুক্তির দূত
(বার্তাবাহক) নবী মুহাম্মাদ সা: এর আহবান ছিল পৃথিবীর সকল মানুষের প্রতি।
মানবজাতির প্রতি করুণা হিসেবে তাঁর আগমন। তাঁর আগমন শান্তির ইসলাম নিয়ে।
নবীর সাহাবীরা “আল্লাহকে’’ না দেখে ও নবীকে নিজেদের চোখে দেখে বিশ্বাস করেছেন।
তাহলে, চিন্তা করুন তো, যে মানুষগুলো “আল্লাহকে’’ এবং তার প্রেরিত নবীকে না
দেখে তাঁর প্রতি বিশ্বাস এনেছে, তাঁর আহবানে সাড়া দিয়েছে, তারা কতটা বেশি
মর্যাদা পাবে আল্লাহর কাছে ??? ভেবে দেখেছেন কি??? আপনি কি পারবেন না তাদেরই
একজন হতে? আহবানে সাড়া দিতে? তবে বসে রইলেন কেন? উঠে আসুন আপনার স্রষ্টার দিকে,
প্রতিপালকের দিকে।
আহবানটা কীসের??
সত্য পথের আহবান। স্রষ্টার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের আহ্বান।
আপনাকে দিয়েই তাহলে আহবান শুরু করি। আপনি কি আপনার স্রষ্টা/প্রতিপালককে স্মরণ
করেন সারা দিনে? যদি না করেন, তবে বলি, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কতক্ষণই বা লাগবে?
মাত্র আধা ঘণ্টা? পৌনে এক ঘণ্টা? খুব কি বেশি সময়?
নাকি আপনাকে এত সব সুযোগ সুবিধা দেয়ার পরেও, প্রিয় মানুষগুলোর এত্ত এত্ত
ভালোবাসা পাওয়ার সুযোগ করে দেয়া সত্ত্বেও আপনার স্রষ্টাকে স্মরণ করতে রুচিতে
বাঁধে আপনার ?
আহ্বানটা থাকলো আপনার জন্য, ভেবে দেখবেন ।
ইনশা-আল্লাহ, আহবান আপনাকে পথ দেখাবে ।