বইটির ডাউনলোড লিংক নিচে দেওয়া আছে
পৃথিবীতে মানব সৃষ্টি সম্পর্কে ডারউইনের বিবর্তনবাদ এক সময় আলােচনা সমালােচনার ঝড় তুললেও বর্তমানে এ মতবাদের অসারতা নিয়ে আলােচনা নিষ্প্রয়ােজন বা নেই বল্লেও চলে।
তবে এ কথা সঠিক যে, পৃথিবীতে মানুষের আগে জিন জাতির অস্তিত্ব ছিল।
তাই আল্লাহ যখন ফেরেশতাদের সামনে মানব সৃষ্টির পরিকল্পনার কথা বললেন তখন ফেরেস্তারা জবাবে বলল, “হে আমাদের রব! আমরা তাে আপনার তাসবীহ পাঠ করি, গুণকীর্তন করি
আপনি কি এমন জাতি সৃষ্টি করতে চান যারা পৃথিবীতে মারামারি করবে, ফিতনা-ফাসাদ সৃষ্টি করবে?
মূলত ফেরেশতাদের এ কথার মাধ্যমে পূর্ববর্তী জাতির চরিত্র ফুটে উঠেছে।
আর ফেরেশতারা এ কথা বলে আল্লাহর পরিকল্পনার বিরােধিতা করেননি;
বরং আল্লাহর কাছে তাদের অভিজ্ঞতার শুধু কথাই তুলে ধরেছেন।
হাদীস থেকে প্রমাণিত যে, আল্লাহ পৃথিবীর প্রথম মানুষ আদম (আঃ)-কে সারা পৃথিবীর উপরিভাগ থেকে মাটি নিয়ে পয়দা বা সৃষ্টি করেছেন।
আর এ কারণেই মাটির রঙ ও বৈশিষ্ট্যের পার্থক্যের কারণে মানুষের রঙ ও স্বভাব-চরিত্রের মধ্যে অনেক পার্থক্য দেখা যায়।
আর এজন্যই এক পরিবারে জন্ম নিয়েও একজন হয় উন্নত চরিত্রের, অন্যজন হয় নিকৃষ্ট চরিত্রের।
একজন হয় কালাে, আরেকজন হয় সুন্দর।
একজন হয় মেধাবী, আরেকজন হয় বােকা।
এখন প্রশ্ন হল, আল্লাহ তায়ালা ফেরেশতাদের সামনে মানব সৃষ্টির পরিকল্পনা পেশের সময় বলেছিলেন, দুনিয়াতে আমার খলীফা বা প্রতিনিধি সৃষ্টি করতে চাই।
এ থেকে বুঝা গেল, মানুষের আবাসস্থল হবে দুনিয়া।
প্রশ্ন জাগতে পারে যে, আল্লাহ প্রথমেই মানুষকে দুনিয়াতে না পাঠিয়ে জান্নাতে রাখলেন কেন?????
এই সব প্রশ্নের উত্তর পেতে বইটি সম্পূর্ণ পড়ার অনুরোধ রইলো।