বইটির ডাউনলোড লিংক নিচে দেওয়া আছে
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ তায়ালার জন্য । আমরা আল্লাহর প্রশংসা করি ও তাঁর কাছে সাহায্য চাই। আমরা তাঁর কাছে মাগফেরাত (ক্ষমা) ও হেদায়াত (পথনির্দেশনা) কামনা করি। আমরা আমাদের নফসে অনিষ্ট ও খারাপ আমলে্র কুফল থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করি।
আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে আল্লাহ ব্যতিত কোন মাবুদ নেই। তিনি এক ও অদ্বিতীয় এবং হযরত মুহাম্মদ সাঃ আল্লাহ তায়ালার প্রেরিত রাসূল । আল্লাহ বলেন:-
یٰۤاَیُّهَا الَّذِیْنَ اٰمَنُوا اتَّقُوا اللّٰهَ حَقَّ تُقٰتِهٖ وَ لَا تَمُوْتُنَّ اِلَّا وَ اَنْتُمْ مُّسْلِمُوْنَ
অর্থঃ হে ঈমানদারগণ! তোমরা প্রকৃত ভীতি সহকারে আল্রাহকে ভয় করো। এবং অবশ্যই মুসলমান না হয়ে মৃত্যুবরণ করো না । (সুরা আলে ইমরান,আয়াত ১০২)
يَـٰٓأَيُّہَا ٱلنَّاسُ ٱتَّقُواْ رَبَّكُمُ ٱلَّذِى خَلَقَكُم مِّن نَّفۡسٍ۬ وَٲحِدَةٍ۬ وَخَلَقَ مِنۡہَا زَوۡجَهَا وَبَثَّ مِنۡہُمَا رِجَالاً۬ كَثِيرً۬ا وَنِسَآءً۬ۚ وَٱتَّقُواْ ٱللَّهَ ٱلَّذِى تَسَآءَلُونَ بِهِۦ وَٱلۡأَرۡحَامَۚ إِنَّ ٱللَّهَ كَانَ عَلَيۡكُمۡ رَقِيبً۬ا (١
অর্থঃ হে মাবন সমাজ! তোমরা তোমাদের পালনকর্তার ভয় করো, যিনি তোমাদের এক ব্যক্তি থেকে সৃষ্টি করেছেন এবং যিনি তার থেকে তার স্ত্রীকে সৃষ্টি করেছেন, আর বিস্তার করেছেন তাদের দুজন থেকে অগণিত নারী ও পরুষ। আর আল্রাহকে ভয় করো যার নামে তোমরা একে অপরের কাছে কোন কিছু চেয়ে থাকো। এবং আত্মীয় পরিজনদের ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করো। নিশ্চই আল্লাহ তোমাদের ব্যাপারে সচেতন আছেন। (সুরা আন-নিসা আয়াত ১)
তাওবা কেন করবেন?
তাওবাই আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ ও তাঁর অসন্তুষ্টি থেকে বাচাঁর জন্য একমাত্র উপায়। তাওবা পাপরাশী মুছে দেয়, ভুল ত্রুটি ঢেকে রাখে মানুষের হ্রদয়কে ও মনকে সঠিক পথ দেখায় । এ কারণে সলফে সালেহীনরা নিয়মিত ভাল আমল করা সত্ত্বেও খুব অল্প ঘুমাতেন, ভোরে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতেন।
তারা জানতেন যে তাদের আমলের আর ও উন্নতি করার সুযোগ আছে। এজন্য তাদের একজন বলেছিল , আমাদের তাওবা আরো তাওবা দাবী করে। আরেকজন বলেছিল, অভিনন্দন তাকে যে শুধু মাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি জন্য একটি সঠিক পদক্ষেপ নিতে পেরেছে।”
“যে ব্যক্তি পরম ক্ষমতাবান ও দয়াময়ের কাছে তাওবা করে না তার জন্য তো ব্যর্থতা ও বিফলতাই অনিবার্য হয়ে পড়ে ”
আল-কামুস (বিখ্যাত আরবি অভিধান )অনুযায়ী তাওবা শব্দের অর্থ গুনাহ থেকে ফিরে আসা । এই শব্দ ব্যবহার করা হয় যখন বান্দাহ গুনাহ করার পর তার রবের দিকে আবার ফিরে আসে।
আল হালিমি (রঃ) বলেন, এর (তাওবা) ধরণ হলো এমন যেন বান্দাহ আল্লাহর কাছে থেকে গুনাহ করার মাধ্যমে পালিয়ে গিয়েছিল এবং আবার তার প্রভুর কাছে ফিরে এসেছে। (আল মিনহাজ ফী শুয়াবুল ঈমান:৩/২১)
এক ব্যক্তি আব্দুল্লাহ ইবনে মাসুদ (রাঃ) কে এমন একটি পাপ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাে, যা সে করতে চেয়েছিল কিন্তু তা সে করেনি
তিনি লােকটি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলেন। আবার যখন ফিরলেন তখন তার চোখে পানি গড়িয়ে পড়তেছিল। তিনি বললেন, “বেহেশতের আটটি দরজা আছে যার প্রতিটি খােলা হয় এবং বন্ধ করা হয় শুধুমাত্র তাওবার দরজা ব্যতীত।
একজন ফেরেশতা এই দরজা পাহারা দিচ্ছেন যাতে তা বন্ধ না করা হয়। সুতরাং বেশি বেশি তাওবা কর, হতাশ হয়াে না।”
তালাক ইবনে হাবীব (রঃ) বলেন, “একজন বান্দাহ কখনােই আল্লাহর হক (অধিকার) পরিপুর্ণ ভাবে আদায় করতে পারে না।
তাই তােমরা সকাল সন্ধ্যা আল্লাহর কাছে তাওবা করতে থাক।”
সাঈদ ইবনে মুসাইয়্যিব (রঃ) আল-কোরআনের আয়াত “যদি তােমরা সৎ হও, তবে তিনি তাওবাকারীদের জন্য ক্ষমাশীল।”
(সুরা আল-ইসরা, আয়াত ২৫)
উল্লেখ করতেন এমন ব্যক্তি সম্পর্কে যে কিনা পাপ করে এরপর তাওবা করে এরপর আবার পাপ করে এবং আবারাে তাওবা করে।
আন্তরিক তাওবা বইটি পড়ে আপনি আশা করি অনেক কিছু জানতে পারবেন আপনি যদি বইটি পেয়ে উপকৃত হোন তবে আপনি চাইলে আরেকজন ভাইকে বইটি পড়তে সহযোগিতা করতে পারেন আপনার ফেসবুকে শেয়ার করার মাধ্যমে।