কিছু কথা
কবিরা গুনাহ নিয়ে আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে এরশাদ করেন – হে ঈমানদারগণ! আল্লাহকে ভয় কর এবং সঠিক সত্য কথা বল, তিনি তোমাদের আমল সংশোধন করবেন এবং তোমাদের পাপসমূহ ক্ষমা করবেন। যে কেউ আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনগত্য করে সে অবশ্যই মহা সাফল্য অর্জন করবে। – আল আহযাবঃ ৭০-৭১।
নিশ্চয় সর্বোত্তম কথা হলো আল্লাহর কিতাব। আর সর্বোত্তম আদর্শ হলো রাসূলের আদর্শ। আর সর্ব নিকৃষ্ট বিষয় হলো মনগড়া ও নব প্রবর্তিত বিষয় তথা বিদআত, আর প্রতিটি বিদআতই হলো গোমরাহী। আর প্রতিটি গোমরাহীর পরিনাম জাহান্নাম।
আল্লাহ বলেনঃ যে সকল বড় গুনাহ সম্পর্কে তোমাদের নিষেধ করা হয়েছে, যদি তোমরা সে সব বড় গুনাহ থেকে বেঁচে থাকতে পারো, তবে আমি তোমাদের ত্রুটি বিচ্যুতিগুলো ক্ষমা করে দিব এবং সম্মানজনক স্থানে তোমাদের প্রবেশ করাব। — নিসাঃ ৩১।
উল্লিখিত আয়াতে আল্লাহ তায়ালা যারা কবীরা গুনাহ থেকে বেঁচে থাকবে তাদেরকে দয়া ও অনুগ্রহে জান্নাতে প্রবেশ করানোর দায়িত্ব নিয়েছেন, কারণ ছগীরা গুনাহ বিভিন্ন নেক আমল যেমন- সালাত, সওম, জুমআ, রমযান ইত্যাদির মাধ্যমে মাফ হয়ে যাবে।
আরো ডাউনলোড "জীবন যেখানে যেমন"
কবিরা গুনাহ নিয়ে হাদীস
রাসূল সাঃ বলেছেনঃ পাঁচ ওয়াক্ত সালাত, এক জুমআ হতে অন্য জুমআ এবং এক রমজান হতে অন্য রমজান মধ্যবর্তী সময়ৈর গুনাহগুলোকে ক্ষমা করিয়ে দেয়। যদি বড় গুনাহ হতে বেঁচে থাকা যায়। (মুসলিম)
উল্লিখিত হাদীসের দ্বারা স্পষ্টভাবে বুঝা যাচ্ছে যে, কবীরা গুনাহ হতে বেঁচে থাকা অতীব জরুরী। যদিও জ্ঞানীর বলেন, তওবা ও ক্ষমা প্রার্থনার ফলে কোন কবীরা গুনাহ অবশিষ্ট থাকে না। আর একই গুনাহ বার বার করলে তা ছগীরা থাকে না। অতএব কবীরা গুনাহ হতে বেঁচে থাকতে হলে তা সম্পর্কে আমাদের সঠিক ধারণা থাকা অত্যন্ত প্রয়োজন।
আরো ডাউনলোড "সিক্রেটস অব জায়োনিজম"
হুযাইফা ইবনুল ইয়ামান রাঃ বলেন – লোকেরা রাসূল সাঃ কে ভাল ভাল বিষয়গুলি জিজ্ঞাসা করিত এবং আমি খারাপ বিষয়গুলো জিজ্ঞাসা করিতাম, এজন্য যে, যাতে আমাকে খারাপ বিষয়গুলি স্পর্শ করতে না পারে। কবি বলেন – “ আমি তো খারাপ সম্পর্কে জেনেছি তা করার উদ্দেশ্যে নয়। বরং খারাপি হতে রক্ষা পেতে। কারণ, যে লোক মন্দ সম্পর্কে কোন ধারণা রাখে না সে তাতে পতিত হয়। “
কবিরা গুনাহ ও তওবা বইটি পেয়ে আপনি উপকৃত হলে আপনি চাইলে এই বইটি অন্য আরেকজন ভাইকে শেয়ার করতে পারেন যার জন্য শুধুমাত্র আপনার ফেসবুক টাইমলাইন এই পোস্টটি শেয়ার করার প্রয়োজন।