আজকাল দিনে আন্ড্রয়েড ফোন ছাড়া মানুষ অচল বলতে গেলে আন্ড্রয়েড ছাড়া মানুষ নেই বললে চলে কিন্তু সেই আন্ড্রয়েড যদি হয় আপনার কাজের সবচেয়ে বড় সহযোগী তাহলেতো আর কথায় নেই। দৈন্দদিন জীবনে ব্যক্তিগত কাজে হোক আর কর্ম জীবনে আমাদের প্রতিনিয়ত মোবাইল ব্যবহার করতে হয় । আর সেই ব্যবহারকে বেগবান করতে আজকে আমি আপনাকে ১০টি আপস ব্যবহার করতে বলবো যা আপনার অনেক কাজ করতে সহজ করে দিবে। সুতরাং যদি আপনার মোবাইল ফোনে এই আপস গুলো না থাকে আজই ডাউনলোড করে ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন। এই আপস গুলো ছাড়া আরো অনেক আপস আছে যেগুলো আপনার বিভিন্ন সময় কাজে লাগতে পারে যা আপনি আসতে আসতে জেনে যাবেন।
১. সিকিউরিটি বা এন্টিভাইরাস অ্যাপস
আজকের এই হ্যাকিং এর যুগে এন্ড্রোয়েড মোবাইলের নিরাপদ ব্যবহার নিশ্চিতকরণে এবং স্ট্রং সিকিউরিটির মাধ্যমে ইন্টারনেটে ব্যবহার করার জন্যে ইন্টারনেট সিকিউরিটি অ্যাপস বা এন্টিভাইরাস অ্যাপস প্রত্যেক মোবাইলে থাকা আবশ্যক।
এই অ্যাপসগুলো মাধ্যমে আপনার মোবাইলের যাবতীয় পার্সোনাল ডেটা নিরাপদ থাকে এবং ক্ষতিকারক সকল প্রকার ভাইরাস, মালওয়্যার, স্পাইওয়্যার ইত্যাদির হুমকি থেকে বেঁচে থাকা যায়।
ইন্টারনেট সিকিউরিটির জন্য এখন আলাদা ভাবে অ্যাপসের প্রয়োজন পড়ে না। প্রায় সব ধরণের মোবাইল এন্টিভাইরাস অ্যাপসে ইন্টারনেট সিকিউরিটি ফিচারটি দেওয়া থাকে।
একটি এন্টিভাইরাস অ্যাপস আপনার এন্ড্রোয়েড মোবাইলকে বিভিন্ন ভাবে নিরাপদ রাখে। যার কারণে আপনার মোবাইল ব্যবহার নিরাপদ থাকে এবং অনাকাঙ্খিত সকল প্রকার ক্ষতি এড়ানো যায়।
এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার এর কাজ কি তা ইতোমধ্যেই আপনি জেনে গেছেন।
এন্ড্রোয়েড মোবাইলের দরকারী অ্যাপস গুলোর মধ্যে এন্টিভাইরাস অন্যতম। আপনার প্রয়োজন এবং পছন্দ অনুযায়ী বাছাই করে ডাউনলোড করে নিন।
ডাউনলোড করুনঃ AVG AntiVirus & Security
এই অ্যাপসগুলোর সবগুলো একসাথে ব্যবহার করতে হবে তা কিন্তু নয়। আপনার পছন্দ অনুযায়ী যে কোন একটা অ্যাপস ব্যবহার করলেই হবে।
২. ইন্টারনেট ব্রাউজিং অ্যাপস
ইন্টারনেট ব্রাউজিং করার জন্য আমরা বিভিন্ন ধরণের ব্রাউজার মোবাইলে ব্যবহার করি। কিন্তু সব ধরণের ব্রাউজার সমান সিকিউরিটি প্রদান করে না। আমাদের মোবাইলে আলরেডি গুগল দিয়ে দেয় আপনি সেটাও ব্যবহার করতে পারেন তাছাড়া আরো অনেক পপোলার ব্রাউজার আছে যেমন Mozilla Firefox, Microsoft Edge ইত্যাদি। আমি আপনাকে রিকমেন্ড করবো Google Chrome ব্যবহার করতে কেননা এটি সবচেয়ে নিরাপদ একটি ব্রাউজার যেটা আপনাকে অনেক সিকিউরিটি প্রোভাইড করবে যা অন্যান্য ব্রাউজার করে না।
আবার বেশীরভাগ ব্রাউজারগুলো সাধারণত স্লো হয় এবং ফিচারও কম থাকে। তাই ফাস্ট এবং সিকিউর ব্রাউজিং করার জন্য Google Chrome বেস্ট।
বর্তমান সময়ে ব্যবহারকারীদের কাছে ভালো ব্রাউজার হিসেবে Google Chrome, Mozilla Firefox এবং Microsoft Edge সবচেয়ে জনপ্রিয়। কম্পিউটার ডিভাইস হোক বা মোবাইল ডিভাইস হোক, ব্রাউজিং করার জন্য এই তিনটি ব্রাউজার সবচেয়ে ভালো।
ভালো বলার কারণ হলো এগুলো অন্যান্য প্রায় সকল ব্রাউজার থেকে অনেক বেশী সিকিউর, ফাস্ট এবং ফিচার সমৃদ্ধ। আপনার প্রয়োজন হবে এমন প্রায় সব ধরণের ফিচারে এই ব্রাউজার গুলো সমৃদ্ধ।
ডাউনলোড করতে সেই ব্রাউজারের উপর ক্লিক করুন ঃ
৩. ছবি এডিটিং অ্যাপস
আজকাল দিনে ছোট কিংবা বড় সবার ছবি এডিট করতে হয় হক সেটা ব্যক্তিগত কারণে অথবা ব্যবসায়িক কারণে যার যেই কারণে হোক না কেন একটা ভালো ছবি এডিটিং আপস মোবাইলে থাকা আবশ্যক।
আপনি হতে পারে সোশ্যাল মিডিয়াতে ছবি আপলোড করবেন অথবা হয়তো আপনার কোনো একটি ব্যবসা প্রতিস্টানের জন্য কোনো লগো বানাতে চান তাহলেও আপনার কোনো না কোনো একজন ডিজাইনার এর কাছে যেতে হবে আর সেই কাজটা আপনি নিজেই সহজেই করে পেলতে পারেন শধুমাত্র একটা আপস আপনার মোবাইলে থাকলে হলো আর সেটা হলো Snapseed apps.
Snapseed -স্ন্যাপসিড
মোবাইল দিয়ে ছবি এডিট করার জন্য স্ন্যাপসিড অনেক কার্যকরী এবং দরকারী অ্যাপস। এটি মূলত Google কোম্পানির নিজস্ব একটি প্রোডাক্ট আর গুগলের প্রোডাক্ট মানে সবচেয়ে সেরা প্রোডাক্ট আপনি যা কোনো প্রকার দুচিন্তা ছাড়া ব্যবহার করতে পারেন।
গুগল প্লে-স্টোর থেকে এই অ্যাপসটি প্রায় 100,000,000+ বার ডাউনলোড হয়েছে। অ্যাপসটিতে ব্যবহারকারীদের 1,510,751 রিভিউ রয়েছে যা গড়ে 4.4 স্টার পেয়ে পৃথিবীর জনপ্রিয় ফটো এডিটিং অ্যাপস এটি।
এই অ্যাপস দিয়ে ছবির পেছনের ব্যাকগ্রাউন্ড পরিবর্তন করার পাশাপাশি ব্যাকগ্রাউন্ড ব্লার, কালার, ছবিতে লেখালেখি সহ বিভিন্ন কাজ করতে পারবেন।
ডাউনলোড করুনঃ Snapseed
Photoshop Express Photo Editor
ফটোশপ নামটির সাথে প্রায় সকলেই পরিচিত। এটি কম্পিউটারের সবচেয়ে জনপ্রিয় ফটো এডিটিং সফটওয়্যার। Photoshop এর মোবাইল ভার্সনটির নাম Photoshop Express Photo Editor.
গুগল প্লে-স্টোরে অ্যাপসটি পেয়ে যাবেন। অ্যাপসটি প্লে-স্টোর থেকে প্রায় 100,000,000+ বার ডাউনলোড হয়েছে।
Photoshop মোবাইল অ্যাপসটিতে ব্যবহারকারীদের 1,820,491 + রিভিউ রয়েছে , যা গড়ে 4.3 পেয়ে পৃথিবীর জনপ্রিয় মোবাইল দিয়ে ছবি এডিট করার অ্যাপস হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।
এই অ্যাপসটি দিয়ে আপনি ছবির নয়েস রিমুভ করতে পারবেন, অর্থাৎ ছবিকে সুন্দর করতে পারবেন। ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড ব্লার, ছবিতে লেখালেখি, ছবির কোয়ালিটি বাড়ানো, ব্যাকগ্রাউন্ড পরিবর্তন সহ ফটো এডিটিং এর প্রায় সমস্ত বিষয়াদি ম্যানেজ করতে পারবেন।
ডাউনলোড করুনঃ Photoshop Express Photo Editor
৪. ভিডিও এডিটিং অ্যাপস
অত্যন্ত প্রয়োজনীয় এবং দরকারী অ্যাপসগুলো মধ্যে Video Editing Apps খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আমাদের বেশীরভাগ মানুষের কাছে কম্পিউটার বা ল্যাপটপ নেই। তাই ভিডিও এডিটিং করার জন্য অনেক সময় মোবাইলকেই বেছে নিতে হয়।
মোবাইল দিয়ে ভিডিও এডিটিং করার জন্য বর্তমানের বিভিন্ন ধরণের অ্যাপস গুগল প্লে-স্টেরে পাওয়া যায়। তবে সকল অ্যাপসের ফিচার বা কর্মক্ষমতা এক নয়।
তাই আপনাকে মোবাইলে ভিডিও এডিটিং করার জন্য সঠিক অ্যাপসটি নির্বাচন করা জরুরি। অর্থাৎ, সেই অ্যাপসটিতে তুলনামূলকভাবে অন্যান্য অ্যাপস থেকে বেশী টুলস এবং ফিচার অফার করে।
KineMaster – Video Editor
মোবাইল দিয়ে ভিডিও এডিটিং করার কথা বলা হলেই অন্যান্য অ্যাপসের মতো KineMaster এর নাম প্রথমেই চলে আসে। এটি খুবই জনপ্রিয় ভিডিও এটিডিংয়ের মোবাইল অ্যাপ। এখন অধিকাংশ লোক যারা কিনা মোবাইল দিয়ে ইউটিউবিং করে তারা এই আপসটির সাথে খুব বেশি পরিচিত কেননা তারা তাদের ভিডিও গুলো KineMaster দিয়ে এডিট করে। আপনার যদি কোনো ভিডিও এডিট করা প্রয়োজন হয় তাহলে এই আপসটি ব্যবহার করতে পারেন।
অ্যাপটি ইতোমধ্যেই গুগল প্লে-স্টোর থেকে 100,000,000+ বার ডাউনলোড হয়েছে।
ব্যবহারকারীদের মধ্য হতে অ্যাপটি সম্পর্কে 4,875,834 টি ইতিবাচক এবং নেতিবাচক ফিডব্যাক রয়েছে , যার গড় স্কোর 4.4 স্টার।
KineMaster মোবাইল অ্যাপটি দিয়ে ভিডিও এডিটিংয়ের প্রায় অনেক কিছুই করা যায়।
ডাউনলোড করুনঃ KineMaster
Video Editor & Maker VideoShow
ভিডিও এডিটিং করার জন্য আরেকটি জনপ্রিয় অ্যাপ হলো Video Editor & Maker VideoShow.
এই অ্যাপটি গুগল প্লে-স্টোর থেকে প্রায় 100,000,000+ বার ডাউনলোড করা হয়েছে। আবার অ্যাপটিতে রয়েছে 5,832,921 ব্যবহারকারীর রিভিউ, যার গড় স্কোর হলো 4.5 স্টার।
এই অ্যাপটি ব্যবহারকারীর ফিডব্যাক অনুযায়ী KineMaster এর চেয়ে অনেক এগিয়ে আছে। তাছাড়া এটি একটি দরকারী অ্যাপস বলেই ১০০+ মিলিয়ন বার ডাউনলোড হয়েছে।
অ্যাপটি দিয়ে আপনি মোবাইলের মাধ্যমেই ভিডিও এডিটিং এর কাজ করতে পারবেন।
ডাউনলোড করুনঃ Video Editor & Maker VideoShow
.
৫. নোট লেখার আপস
মোবাইল আমাদের নিত্যদিনের সঙ্গী। মোবাইল ব্যবহার করে অথচ মোবাইলে লেখালেখি করে না এমন লোক হয়ত খুঁজে পাওয়া যাবে না। দৈনন্দিন জীবনের অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় আমরা মোবাইলে লিখে রাখি। হঠাৎ কোনো আইডিয়া মাথায় আসলে সেটা লিখতে পারেন অথবা কোনো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সেটাও লিখে রাখতে পারেন।
মোবাইলে লেখালেখি করার জন্য Notepad এন্ড্রয়েডের প্রয়োজনীয় এপসগুলোর অন্যতম। এইটা আপনার মোবাইলে ভাইডিপল্ড দিয়া থাকে। নোটপ্যাড ব্যবহারের ক্ষেত্রে ভালো একটি লোডপ্যাড আপনার লেখাকে বিভিন্ন ভাবে প্রেজেন্ট করতে পারে এবং লেখাগুলোকে গায়েব হওয়া থেকে প্রোটেক্ট করে।
Simple Notepad
Simple Notepad টি সত্যিই সিম্পল এবং অসাধারণ। এই Notepad অ্যাপটি আমি নিজে ব্যবহার করি। এটা বেশ ভালো এবং কন্টেন্ট সিকিউরিটিতেও বেশ প্রশংসাযোগ্য বটে।
নোটপ্যাডটিতে যা লিখবেন তা অটোমেটিক ভাবে সরাসরি আপনার মেমোরিতে সেভ হবে এবং সেই লেখাটি যে কোন নোটপ্যাডে ওপেন করতে পারবেন।
Simple Notepad গুগল প্লে-স্টোর থেকে 1,000,000+ বার ডাউনলোড হয়েছে এবং ব্যবহারকারীদের 14,989টি রিভিউ রয়েছে, যার গড় স্কোর 4.5 স্টার।
ডাউনলোড করুনঃ Simple Notepad
৬. তথ্য ও জ্ঞান সমৃদ্ধতার অ্যাপস-Wikipedia
আমরা সকলেই চাই পৃথিবীতে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন তথ্য এবং ইতিহাস জানার মাধ্যমে আমাদের জ্ঞানকে সমৃদ্ধশালী করতে।
পৃথিবীর সমস্ত জ্ঞান এবং ইতিহাস একটি বইয়ের মাধ্যমে একত্রকরণ করা মোটেও সহজ বিষয় না। অসম্ভবও বলা যায়। তবে এই বিষয়টা কাগজের বইয়ে সম্ভব না হলেও প্রযুক্তি ব্যবহারে একত্র করা অসম্ভব কিছু না।
এমন একটি অ্যাপস আপনাদের সাথে পরিচয় করে দেবো, যা থেকে আপনি যে কোন তথ্য এবং ইতিহাসের জ্ঞান লাভ করে আপনার জ্ঞান সমৃদ্ধ করতে পারবেন।
Wikipedia -উইকিপিডিয়া অ্যাপ
উইকিপিয়ার নাম শুনেননি জ্ঞানের জগতে এমন লোক খুঁজে পাওয়া যাবে না।
তবে অধিকাংশই মানুষই জানে না যে, উইকিপিডিয়ার নিজস্ব অ্যাপ রয়েছে। আমরা সাধারণত উইকিপিডিয়া থেকে তথ্য সংগ্রহের জন্য সরাসরি ব্রাউজারের সাহায্যে Wikipedia এর ওয়েবসাইটে প্রবেশ করি।
তবে তারা ইতোমধ্যেই Wikipedia এর অফিসিয়াল অ্যাপ প্রকাশ করেছে। যেটার মাধ্যমে আপনি উইকিপিডিয়া থেকে আরো সহজ উপায়ে তথ্য খুঁজে বের করতে পারবেন।
অ্যাপটি গুগল প্লে-স্টোর থেকে এখন পর্যন্ত 50,000,000+ বার ডাউনলোড হয়ে গেছে। অ্যাপটিতে রয়েছে 674,364+ ব্যবহারকারীর 4.6 স্টার রিভিউ।
ডাউনলোড করুনঃ Wikipedia Apps
৭. PDF বই পড়া এবং এডিট করার অ্যাপ
এন্ড্রোয়েড মোবাইল ব্যবহার করেন অথচ pdf বই পড়েন না, এমন ব্যবহারকারীর সংখ্যা হয়ত খুব বেশী হবে না। এন্ড্রোয়েড মোবাইলের দরকারী অ্যাপসগুলোর তালিকায় PDF viewer বা PDF Reader ক্যাটাগরির অ্যাপস খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আমরা প্রায় মোবাইল ব্যবহারকরীই আমাদের মোবাইল দিয়ে বিভিন্ন ধরণের পিডিএফ বই পড়ি। পিডিএফ মূলত এক ধরণের ইলেক্ট্রনিক বই।
তবে সাধারণত কোন পিডিএফ বই মোবাইলে সরাসরি ওপেন হয় না। এর জন্য একটি PDF viewer বা PDF Reader অ্যাপের প্রয়োজন হয়।
অনেকেই বিষয়টা হয়ত বুঝতে পারেননি। তাই ছোট্ট একটি উদাহরণ দেওয়া যাক।
আমরা যখন মোবাইলে কোন ভিডিও দেখি, তখন সাধারণত ভিডিও প্লেয়ার অ্যাপ এর মাধ্যমে ভিডিও ওপেন করি। ঠিক তেমনী কোন প্রকার PDF ফাইল এক্সেস করার জন্য PDF viewer অ্যাপের প্রয়োজন হয়।
মোবাইল দিয়ে pdf বই পড়া আমাদের অনেকের নিত্যদিনের কাজ। তাই ব্যবহারকারী হিসেবে ভালো একটি পিডিএফ অ্যাপ মোবাইলে ইনিস্টল করা উচিত।
Adobe Acrobat Reader: Edit PDF
ফিচারসমৃদ্ধ এবং চাহিদাগত ভাবে PDF viewer অ্যাপস গুলোর মধ্যে Adobe Acrobat Reader অনেক জনপ্রিয়। আপনি শুধু PDF ডকুমেন্ট না যে কোনো ডকুমেন্ট এই আপস দিয়ে উপেন করতে পারবেন সেটা হোক Word Document, Excel Document ইত্যাদি যে কোনো ডকুমেন্ট এই আপস দিয়ে ওপেন করা যাবে ও এডিট করা যাবে।
এই অ্যাপটি বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় সফটওয়্যার কোম্পানি Adobe এর একটি প্রোডাক্ট।
গুগল প্লে-স্টোর থেকে ইতোমধ্যেই অ্যাপটি 500,000,000+ বার ডাউনলোড হয়েছে। তাছাড়া অ্যাপটিতে রয়েছে 5,023,827 + ব্যবহারকারী স্টার রিভিউ।
Adobe Acrobat Reader অ্যাপটির সাহায্যে আপনি যে কোন ধরণের pdf বই ওপেন করতে পারবেন।
ডাউনলোড করুনঃ Adobe Acrobat Reader
৮. ভিডিও প্লেয়ার
আমরা আমাদের এন্ড্রোয়েড মোবাইল দিয়ে বিভিন্ন ধরণের ভিডিও দেখে থাকি। কিন্ত অনেকেই Video player কি তা জানিনা।
মোবাইলে সাধারণত Video player ছাড়া ভিডিও ওপেন হয় না বা দেখা যায় না। তাই এন্ড্রয়েডের প্রয়োজনীয় এপস গুলোর মধ্যে Video player কে রাখাটা বাঞ্ছনীয় মনে করি।
গুগল প্লে-স্টোরে বিভিন্ন ধরণের ভিডিও প্লেয়ার পাওয়া যায়। তবে সেই Video player গুলোর মধ্যে ফিচার এবং সুযোগ-সুবিধার দিক দিয়ে কম-বেশী রয়েছে।
এজন্য ব্যবহারকারী হিসেবে এমন একটি ভিডিও প্লেয়ার নির্বাচন করা উচিত যেটির মাধ্যমে অনেক সুযোগ -সুবিধা পাওয়া যাবে।
KMPlayer – All Video Player
KMPlayer এন্ড্রোয়েড মোবাইলের জন্য চমৎকার একটি ভিডিও প্লেয়ার অ্যাপ। জনপ্রিয়তার দিক দিয়েও এটি শীর্ষস্থানে রয়েছে।
গুগল প্লে-স্টোর থেকে KMPlayer ডাউনলোড হয়েছে প্রায় 10,000,000+ বার। ব্যবহারকারীদের মধ্য হতে 372,555 জন এই অ্যাপে রিভিউ দিয়েছে, যার গড় স্কোর হলো 4.3 স্টার।
এই অ্যাপের মাধ্যমে যে কোন ফরম্যাটের ভিডিও ওপেন করা যায়। তাই এটির অপর নাম All Video Player.
ডাউনলোড করুনঃ KMPlayer
MX Player
ভিডিও প্লেয়ার গুলোর মধ্যে MX Player খুবই জনপ্রিয়। এটি দিয়েও যে কোন ধরণের ভিডিও ওপেন করা যায়।
এই অ্যাপটিও গুগল প্লে-স্টোরে পাওয়া যায়। ইতোমধ্যেই গুগল প্লে-স্টোর থেকে MX Player টি 1,000,000,000+ বার ডাউনলোড হয়েছে।
তাছাড়া 11,583,719 ব্যবাহারকারী এই অ্যাপটি সম্পর্কে রিভিউ দিয়েছে, যার গড় স্কোর হলো 4.2 স্টার।
ডাউনলোড করুনঃ MX Player
৯. অটো কল রেকর্ডার অ্যাপ
মোবাইলে আমরা প্রায় সকলেই একে অপরের সাথে কথা বলে থাকি। তাছাড়া, মোবাইল দিয়েই অনেক বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ চুক্তিও করা হয়। আবার অনেকেই একে অপরকে অনেক হোমকি ও দিয়ে থাকে এই মোবাইলে ব্যবহার করে কিন্তু সেটা যদি হয় কোনো সেন্সেটিভ ব্যপার তাহলেতো আর কথায় নাই সেটা আপনাকে অনেক বেশি সাহায্য করবে কোনো আইনি ব্যপারের ক্ষেত্রে। সেজন্য একটি অটো কল রেকর্ডার প্রত্যেকের মোবাইলে থাকা উচিৎ।
অটো কল রেকর্ডার এমন একটি অ্যাপ, আপনি যখন কারো সাথে ফোনে কথা বলবেন তখন অটোমেটিক ভাবে আপনাদের ফোন আলাপ রেকর্ড করবে।
ফোন আলাপ রেকর্ড করার অনেক গুরুত্ব রয়েছে। মনে করুন, আপনি কারো সাথে কোন বিষয়ে চুক্তি করলেন, তখন যদি যেই চুক্তির বিষয়ে ফোন আলাপ রেকর্ড থাকে তবে চুক্তিটি অনেক স্ট্রং হয়। এক্ষত্রে মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে চুক্তি ভঙ্গ করা অনেক কঠিন হয়ে যায়।
এই বিষয়টি ছাড়াও আরো অনেক প্রয়োজনে কল রেকর্ড এর প্রয়োজন হয়। তাই আপনার ফোনে একটি Automatic Call Recorder অ্যাপস থাকা অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
Automatic Call Recorder
গুগল play store এর মাধ্যমে বিভিন্ন ধরণের অটো কল রেকর্ডার অ্যাপস পাওয়া যায়। তবে সব ধরণের অ্যাপ ফিচারের দিক দিয়ে সমান নয়।
Automatic Call Recorder নামক অ্যাপটি ইতোমধ্যেই গুগল প্লে-স্টোর থেকে 100,000,000+ বার ডাউনলোড হয়েছে। অ্যাপটির 2,495,802 + ব্যবহারকারী অ্যাপটি সম্পর্কে রিভিউ করেছে। যার গড় স্কোর হলো 4.2 স্টার।
এই অ্যাপটি অটোমেটিক ভাবে আপনার ফোনের সকল কল রেকর্ড করবে এবং কল রেকর্ডের লিস্ট নাম্বার এবং সময় সহ আপনার ফোনের মেমোরিতে যথাযথ ভাবে MP3 ফরম্যাটে সংরক্ষণ করতে থাকবে।
পরবর্তীতে আপনি আপনার সকল কল রেকর্ড শুনতে পারবেন। তাই দরকারী অ্যাপস গুলোর মধ্যে Automatic Call Recorder খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
ডাউনলোড করুনঃ Automatic Call Recorder
১০. গুগল ট্রান্সলেটর
এন্ড্রয়েডের প্রয়োজনীয় এপসগুলোর মধ্যে ভাষা অনুবাদক অ্যাপস খুবই দরকারী।
আমরা কেহই পরিপূর্ণ ভাবে সব ধরণের ভাষা আয়ত্ব করতে পারি না। এটা আমাদের পক্ষে পসিবলও নয়।
তবে দৈনন্দিন জীবনে আমাদেরকে বিভিন্ন ভাষার ব্যবহার করতে হয়।
তবে সাধারণ ভাবে আমরা নিজেরা সব ধরণের ভাষার ব্যবহার জানিনা। তাই ভাষা অনুবাদ অ্যাপ আমাদেরকে বিভিন্ন ভাষার ব্যবহার অনেক সহজ করে দিয়েছে।
Google Translate Apps
গুগল ট্রান্সলেট অ্যাপটিতে প্রায় সব ধরণের ভাষা সাপোর্ট করে। আপনি যে কোন ভাষাকে এই অ্যাপটির সাহায্যে অন্য আরেকটি ভাষায় অনুবাদ করতে পারবেন।
এটি Google এর নিজস্ব একটি প্রোডাক্ট। তাই ফিচার বিবেচনায় অন্য সব ভাষা ট্রান্সলেট অ্যাপস থেকে এটি অনেক বেশী ইউজফুল।
ইতোমধ্যেই গুগল প্লে-স্টোর থেকে এই অ্যাপটি 1,000,000,000+ বার ডাউনলোড হয়েছে। প্রায় 8,362,257 জন ব্যবহারকারী এই অ্যাপটি সম্পর্কে রিভিউ করেছে। যার এভারেজ গড় স্টোর হলো 4.4 স্টার।
এটি প্রত্যেক মোবাইল ব্যবহারকারীর জন্য খুবই দরকারী অ্যাপস বটে। বিশেষ করে যারা বিভিন্ন ভাষা নিয়ে কাজ করেন তাদের জন্য এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
ডাউনলোড করুনঃ Google Translate
#আন্ডয়েডটিপসএন্ডট্রিক্স #সেরাঅ্যান্ডয়েডআপস #টিপসএন্ডট্রিক্স #টেকনলোজিটিপস