গাজওয়াতুল হিন্দ প্রতিশ্রুত নববী যুদ্ধ বই pdf download

গাজওয়াতুল হিন্দ প্রতিশ্রুত নববী যুদ্ধ বই pdf download
 

কিছু কথা 

গাযওয়াতুল হিন্দ হলো ইসলামী ইতিহাসের আলোকোজ্জ্বল এক অধ্যায়। এর প্রারম্ভ খোলাফায়ে রাশেদীনের যুগ থেকে, ইসলামের বুনিয়াদি বিষয়গুলো নিয়ে গবেষণা করলে হাকীকত এটাই প্রকাশ পায় যে, এক দৃষ্টিকোণ থেকে (এই ধারাবাহিকভাবে চলে আসা) গাযওয়ায়ে হিন্দ বা হিন্দুস্তানের যুদ্ধ নববী গাযওয়া ও সারিয়াহগুলোর অন্তর্ভুক্ত।

 

আমাদের দৃষ্টিতে নববী গাযওয়া বা যুদ্ধগুলোর -সংগঠনের কাল হিসেবে-দুটি বড় বড় প্রকার রয়েছেঃ ঐ সকল যুদ্ধ যা রাসুলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জীবদ্দশায় সংগঠিত রয়েছে। সীরাহ রচয়িতা এবং হাদীস বিশারদগণের পরিভাষায় সেই যুদ্ধগুলো আবার দুই প্রকার।

যথা, (১),গযওয়াহ,(২),সারিয়্যাহ। ঐ রণক্ষেত্র যাতে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্ব-শরীরে শরীক হয়েছেন এবং মুজাহিদ সাহাবাগণের রাযি. নেতৃত্ব দিয়েছেন। সংখ্যা হিসেবে এমন যুদ্ধের সংখ্যা প্রায় সাতাশটি।মুহাদ্দিসীন এবং সীরাত রচয়িতাগণের পরিভাষায় ঐ জিহাদকে বলে, যাতে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম স্ব-শরীরে অংশ গ্রহন করেন নি।

বরং কোন সাহাবীকে আমীর বানিয়ে তার নেতৃত্ব সকল সাহাবীকে পাঠিয়ে দিয়েছেন। একে সারিয়্যাহ বলে। হাদীস ও সীরাতের কিতাবে নবী যুগের গাযওয়অ এবং সারিয়্যার বিস্তারিত বিবরণের উল্যেখ রয়েছে। কাল হিসেবে এই দুই প্রকার যুদ্ধ সংগঠিত যুদ্ধের মাঝে গণ্য হবে।হযরত আব্দুল্লাহ বিন বিশর খাসআমী রহি, তার পিতার থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছেন; কুস্তুন্তনিয়্যাহ শহর অবশ্যই বিজয় হবে।

সেই বিজেতা যুদ্ধা বাহিনীর আমীর কতোই না উত্তম আমীর । আর সেই সৈন্যদলটি কতোই না উত্তম সৈন্যবাহিনী ! এই হাদীসটি হযরত মাসলামা বিন আব্দুল মালিকের ইলমে আসলো। তখন তিনি হাদীসের রাবী হযরত আব্দুল্লাহ বিন বিশর রহি. কে ডেকে আনলেন। হযরত আব্দুল্লাহ বলেন, যখন তিনি আমার থেকে এই হাদীস শোনলেন তখনি তিনি কাল বিলম্ব না করে অভিমুখে লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নিলেন।

 

Post a Comment

Previous Post Next Post