বই সম্পর্কে
যখন তোমার মৃত্য অনিবার্য, তখন জানবে যে, তোমার শয্যা হবে মৃত্তিকা, তোমার সাথী কীট-প্রতঙ্গ, তোমার উপর নিয়োজিত হবে মুনকার ও নকীর, তোমার বিশ্রামের স্থল হবে কবর বা দুনিয়ার উদর, তোমার প্রতিজ্ঞাকৃত স্থানে কিয়ামত, তোমার গন্তব্য স্থল হবে বেহেশত বা দোযখ, এই অবস্থায় তোমার কি মৃত্যু চিন্তা করা উচিত নয়? মৃত্যুকে স্মরণ করা কি উচিত নয়? তার জন্য প্রস্তুত হওয়া কি উচিত নয়? এগুলো করা তোমার অবশ্যই কর্তব্য।
সুতরাং তুমি এখন থেকেই নিজেকে মৃত ব্যক্তিদের অন্যতম বলে গন্য কর। নিজেকে কবরের একজন অধিবাসী বলে মনে কর, কেননা যা ঘটবে তা অতি নিকটবর্তী এবং যা ঘটবে না তা বহু দূরবর্তী। হুযুরে পাক (সাঃ)- বলেছেন, আল কাইসু মান দানা নাফসাহু ওয়া আমিলা লিমা বাদল মাওতি অর্থাৎ জ্ঞানী ঐ ব্যক্তি যে স্বীয় প্রবৃত্তিকে বশীভুত করে এবং মৃত্যু পর যা ঘটবে তার জন্য কাজ করে।
কোন বস্তুর জন্য প্রস্তুত হওয়া সহজ হয় না যদি তা মনের মধ্যে বার বার স্মরণ করা না হয় । কোন বস্তু নতুন করে স্মরণ করা হয় না যদি স্মরণের বিষয়বস্তুকে মনোযোগ সহকারে স্মরণে আনা না হয়।এখন আমরা মৃত্যুর বিষয়, আখেরাতের অবস্থা, কিয়ামত, বেহেশত ও দোযখ ইত্যাদির বিষয় বর্ণনা করব। এসব বিষয় প্রত্যেক লোকেরই অনবরত স্মরণ করা অত্যাবশ্যক।
তার বিষয় চিন্তা করা উচিত , যেন তা-ই মৃত্যু প্রস্তুতির জন্য উৎসাহ প্রদান করে। মৃত্যুর পর যার ঘটবে তা নিকটবর্তী, অথবা আয়ুষ্কাল অল্প এবং মানুষ তাথেকে উদাসীন। মানুষের হিসাব নিকটবর্তী, অথচ তারা তাদের অমনোযোগিতায় লিপ্ত। আমরা মৃত্যুর বিষয় নিম্মোক্ত আটিটি অনুচ্ছেদ বর্ণনা করব। যথা (১) মৃত্যু স্মরণের কল্যাণ ও তজ্জন্য উৎসাহ প্রদান (২) দীর্ঘ আশা, (৩) মৃত্যুর তন্ময়তা ও কষ্ট (৪) হুযুরে পাক (সাঃ) ও খোলাফাযে রাশেদীনের মৃত্যু (৫) অন্যান্য খলীফা, আমির ও ধার্মিক লোকের মৃত্যু (৬) জানাযা, কবর ও কবর যিয়ারত সম্পর্কে বুযুর্গ লোকদেন বাণী, (৭) মৃত্যুর অর্থ ও সিঙ্গার ফুকঁ দেয়া পর্যন্ত অবস্থা, (৮) স্বপ্নে মৃত লোকদের অবস্থা জানা।
মৃত্যু চিন্তা বইটি পেয়ে আপনি উপকৃত হলে আপনি চাইলে এই বইটি অন্য আরেকজন ভাইকে শেয়ার করতে পারেন যার জন্য শুধুমাত্র আপনার ফেসবুক টাইমলাইন এই পোস্টটি শেয়ার করার প্রয়োজন।