আজকের এই প্রযুক্তি ও আধুনিক যুগে এন্ড্রয়েড ব্যবহার করে না এমন ব্যক্তি নেই বললেও চলে। এন্ড্রয়েড ফোন এখন আমাদের জীবনের একটা অংশ হয়ে গিয়েছে।
আমরা যেকানে যাই না কেন প্রতিটি মুহুত্তে আমাদের সাথে থাকে এই ফোন। যেহেতু আমাদের প্রতিটি কাজে এই এন্ড্রয়েড ফোন ব্যবহার করতে হয় সেহেতু এই ফোন কীভাবে এর ভালো ব্যবহার করা যায় সেটা জানা আমাদের সকলের জরুরী। আমরা প্রত্যেকেই এন্ড্রয়েড ফোন ব্যবহার করি কিন্তু এর আসল ফিচার বা সুযোগ সুবিধাগুলো কয়জনে জানি।
এই আর্টিকেলে আমি আপনাদের সামনে ১০টি এন্ড্রয়েড টিপস এন্ড ট্রিক্সস নিয়ে কথা বলবো ও দেখাবো কীভাবে আপনারা সেগুলো ব্যবহার করে আপনাদের হাতে থাকা এন্ড্রয়েড ফোনটির সকল সেরা সুযোগ সুবিধাগুলো ব্যবহার করবেন যা অধিকংশ এন্ড্রয়েড ফোন ব্যবহারকারী জানে না। এই ফিচার গুলো না জানার কারণে অনেকের ফোন তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যায় বা ব্যবহার করে মজা পাওয়া যায় না।
টিপস নাম্বার -১ : Developer Mode এনাবল করুন
এটা খুবই একটা পরিচিত ট্রিক্সস তারপরেও এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ কেননা পরবর্তীতে আমরা এটার অনেক ব্যবহার দেখবো।
এটা আপনার ফোনে চালো থাকবে না এটাকে চালো করতে আপনি নিচের স্টেপগুলো ফলো করুন
- step-1: Stetting যান
- step -2: About Phone সিলেক্ট করুন
- step-3: Build Number অপশনে ৭বার ক্লিক করুন
টিপস নাম্বার- ২ : Animation Speed পরিবর্তন করুন
অধিকাংশ মোবাইল ফোনে Ram থাকে ৪ জিবি আবার কিছুতে থাকে ২ জিবি যার ফলে মোবাইল ফোন মাঝে মাঝে slow করে যখন কোনো কাজ করি। এটার জন্য সলোশন হলে Window animation scale, Transition animation scale ও Animation duration scale 1x থেকে .5x এ পরিবর্তন করা। এটার জন্য আপনি নিচের স্টেপ গুলো ফলো করুন ।
step-1: Setting থেকে Developer অপশনে যান
step-2: Developer option on করুন
step-3: Window animation scale 1x থেকে .5x করুন
step-4: Transition animation scale 1x থেকে .5x করুন
step-5: Animation duration scale 1x থেকে .5x করুন
টিপস নাম্বার-৩ : Defaults App Clear করুন
এটা খুবই বিরক্তিকর যে যখন আপনি একটি এপ্সের লিঙ্ক ওপেন করলেন আপনি চাচ্ছেন সেটা একটা আপ্সে ওপেন হোক কিন্তু সেটা আরেকটা আপ্সে ওপেন হয় যেমন আপনি একটি ইউটিউব বা ফেসবুক লিঙ্ক ওপেন করলেন আপনি চাচ্ছিলেন সেটা ওপেন হতে আপনার প্রছন্দের ব্রাউজারে কিন্তু সেরা ওপেন হলো আরেকটা ব্রাউজারে।
এই সমস্যাটা সহজে সমাধান করার জন্য নিচের স্টেপগুলো ফলো করুন
step-1: Setting এ যান
step-2: Apps and notifications সিলেক্ট করুন
step-3: Advanced option এ ক্লিক করুন
step-4: scroll down করে Open by default এ ক্লিক করুন
step-5: সিলেক্ট Clear Defaults
টিপস নাম্বার- ৪: তাড়াতাড়ি Wi-Fi Network পরিবর্তন করুন
ওডলি বলতে গেলে কীভাবে তাড়াতাড়ি WI-Fi Netowrk change করবেন তা কিন্তু স্পষ্ট নয়। তারপরে আপনি যেতে পারেন
step-1: প্রথমে Setting option
step-2: তারপরে Network and internet এ ক্লিক করুন
step-3: Wi-Fi option এ ক্লিক করে সেখানে পরিবর্তন করুন
কিন্তু এটা সবাই জানে এবং এটা খুবই দেরি প্রসেস তারচেয়ে সহজে Wi-Fi Nework পরিবর্তন করতে আপনার ফোনের লাম্বাভাবে Swipe করুন যেভাবে আপনি ডাটা বা প্লাশলাইট ওপেন করতে আপনার ফোন Swipe করুন।
টিপস নাম্বার -৫ : বিরক্তিকর নোটিপিকেশন চিহ্নিত করুন
আপনি কি বিভিন্ন আপস নোটিপিকেশন পেতে বিরক্তি বোধ করেন তাহলে আপনি সেই নোটিপিকেশন গুলো বন্ধ করতে পারেন জাস্ট নিচের স্টেপগুলো ফলো করুন
step-1: Setting এ যান
step-2: Notification এ ক্লিক করুন
step-3: manage Notification এ ক্লিক করে যে আপস থেকে Notification আসে সেগুল ব্লক করে দেন।
টিপস নাম্বার-৬ : Do Not Disturb Mode অন করুন
step-1: Setting এ যান
step-2: Sound সিলেক্ট করুন
step-3: তারপর Do Not Disturb option এ ক্লিক করে On করুন।
আপনি চাইলে তাড়াতাড়ি করতে Wi-Fi সেটিং এর মতো Quick সেটিং ব্যবহার করতে পারেন।
টিপস নাম্বার-৭ : Smart Lock চালো করুন
এটা আপনার কিপেড লক বন্ধ করে যখন আপনি আপনার একটি বিশ্বস্ত পরিবেষে থাকেন। যেমন আপনার বাড়ীতে বা অফিসে।
এটা আপনার GPS, আপনার ছবি অথবা আপনার কন্ঠ ব্যবহার করে থাকে এটা নিজে থেকে বন্ধ হওয়াকে থামাতে। এটা আসলে আপনাকে অনেক বেশি সাহায্য করে যখন আপনি আপনার মোবাইল নিয়মিত ব্যবহার করেন।
এই ফিচারটি চালো করতে নিচের স্টেপগুলো অনুসরণ করুন।
step-1: Setting এ যান
step-2: Security অপশনে ক্লিক করুন
step-3: তারপর Smart Lock option চালো করুন
টিপস নাম্বার-৮ : App Pinning
যদি আপনার মোবাইল ফোনটি আপনার সন্তান বা কোনো পরিচিত কেও নিয়মিত ব্যবহার করে তাহলে আপনি এই ফিচারটি চালো করতে পারেন । এই ফিচারটি আপনার সন্তান কে কোনো Adult content যা তার জন্য দেখা যতাযত নয় সেই কন্টেন্ট গুলো থেকে বিরত রাখতে পারেন।
এই ফিচারটা চালো করতে নিচের স্টেপগুলো অনুসরন করেন।
step-1: Setting এ যান
step-2: Security option থেকে Advanced option ক্লিক করুন
step-3: App pinning option চালো করুন
টিপস নাম্বার-৯: Turn on Notification History
আমরা এর আগে দেখেছিলাম কীভাবে আপনার ফোনের সকল নোটিফিকেশন অফ করা যায় কিন্তু এখন দেখবো কীভাবে আপনার ফোনে নোটিফিকেশন History দেখবেন মুলত এন্ডয়েড ১১ এবং এর উপরের ভার্সন গুলোতে এটার জন্য একটা সমাধান দিয়ে দিছে ধরুন আপনার ফোনে যে নোটিফিকেশন গুলো আসে তার মধ্যে হয়তো কিছু নোটিফিকেশন আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। সেগুলো দেখতে চাইলে আপনার নোটিফিকেশন History check করতে হবে। আর সেটা করতে নিচের স্টেপগুলো অনুসরন করুন
step-1: Setting option এ যান
step-2: Apps and Notification এ যান
step-3: notifications এ যান তার পর Notification History তে ক্লিক করুন
step-4: এখন Notification History toggle টা On করুন।
টিপস নাম্বার-১০: Chat Bubles এনবল করুন
সকল মেসজিং আপস Bubbles Chat support করে। Chat Bubbles হলো একটি আইকন যেটা সবসময় আপনার স্ক্রিনে দেখা যায়। যখনি আপনি কোনো মেইন আপসে কথা বলবেন সেটা আপনাকে সোজা Chat Window তে নিয়ে যাবে।
এটা চালো করতে নিচের স্তেপগুলো অনুসরন করুন।
step-1: Setting option এ যান
step-2: Apps and Notification এ notifications সিলেক্ট করুন
step-3: তারপর Bubbles অপশনে ক্লিক করুন
step-4: Bubble option On করুন
আসাকরি এই টিপস এন্ড ট্রিক্সস গুলো ব্যবহার করে আপনি আপনার মোবাইল ফোন ব্যবহারকে অনেক বেশি সহজ করতে পারবেন।
পরবর্তীতে আরো অনেক বেশি টিপস এন্ড ট্রিক্সস পেতে আমাদের Telegram চ্যানেলে Join করুন।
tags:
tips and tricks,
Best Android tips,
how to use Android effectively,
10 tips for Android user.